মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন ২০২৩ | Madhyamik Bengali Grammar Suggestion 2023
Madhyamik Bengali Grammer Suggestion :
মাধ্যমিক ২০২৩ এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলার ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-এর সাজেশন নিচে দেওয়া হল –
1.বিভক্তির কাজ কী?
উ: বাক্যে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার জন্য শব্দকে পদে পরিণত করাই হলো বিভক্তির কাজ।
2. কারক শব্দটির ব্যুৎপত্তি কী হবে?
উ: কারক শব্দটির ব্যুৎপত্তি হলো √কৃ + অক।
3. ক্রিয়াখণ্ড বলতে কী বোঝ?
উ: আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানে Verb Phrase বলতে বোঝায় ক্রিয়াগুচ্ছ বা ক্রিয়াখণ্ড যার শীর্ষে রয়েছে একটি ক্রিয়া এবং সমগ্র অংশটি Predicate বা বিধেয়ের কাজ করে। আর একেই বলা হয় ক্রিয়াখণ্ড। ক্রিয়াখণ্ডে ক্রিয়া তো থাকবেই, এছাড়াও থাকতে পারে গৌণ কর্ম, মুখ্য কর্ম, ক্রিয়াবিশেষণ, কালবাচক শব্দ, বিশেষ্য ইত্যাদি।
4. কর্মের বীপ্সা বলতে কী বোঝ?
উ: কোনো বাক্যে একই কর্ম পুনরাবৃত্ত হলে, তাকে কর্মের বীপ্সা বলা হয়। যেমন- যা যা বলেছি করেছো তো।
5.কোন্ কোন্ সমাসে উত্তরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় ?
উ: কর্মধারয় ও তৎপুরুষ সমাসে উত্তরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়।
6.বাচ্য কাকে বলে?
উ: বাক্য মধ্যে কর্তা, কর্ম ও ক্রিয়ার প্রাধান্য নানারূপে বা ভঙ্গিতে ব্যক্ত হওয়াকে বাচ্য বলে।
7. কোন্ বাচ্যের রূপান্তর সম্ভব নয়?
উ: কর্মকর্তৃবাচ্যের রূপান্তর সম্ভব নয়।
8. ‘হাতাহাতি’ এই সমাসবদ্ধ পদটি কোন সমাসের উদাহরণ?
উ: ব্যতিহার বহুব্রীহি
9. একটি ব্যতিহার কর্তার উদাহরণ দাও।
উ: রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়।
10.বাংলায় ভাববাচ্যে প্রয়োগের কারণ কী?
উ: ক্রিয়ার মধ্যম পুরুষের ব্যবহার না করার জন্যই বাংলায় ভাববাচ্য প্রয়োগ করা হয়।
11.অঙ্গবিচারসূচক করণের একটি উদাহরণ দাও।
উ: সে মুখে বোবা। রেখাঙ্কিত পদটি হলো অঙ্গবিকারসূচক করণে ‘এ’ বিভক্তি।
12.তারতম্যবাচক অপাদান বলতে কী বোঝ?
উ: দুই বা ততোধিক ব্যক্তি, বস্তু অথবা প্রাণীর মধ্যে তুলনা বোঝায় যে অপাদানকারকে তাকে তারতম্যবাচক অপাদান যেমন-তোমার চেয়ে আমি ভালো।
13.বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব কাকে বলে?
উ: পরস্পর বিপরীত অর্থ মিললে যে দ্বন্দ্ব সমাস হয়, তাকেই বলে বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাস।
14 “দেবতা বাঁধা যজ্ঞ যুপে।”-রেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় করো।
উ: যজ্ঞ যূপে – যজ্ঞের নিমিত্ত যূপ – নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস, তাতে।
15.“দরিয়ার মাঝ”-ব্যাসবাক্যটি সমাসবদ্ধ করে সমাসের নাম লেখো।
উ: মাঝদরিয়া (সম্বন্ধ তৎপুরুষ)।
অন্যান্য → মাধ্যমিক রচনা বিজ্ঞান ও কুসংস্কার, একদম জলের মতন সোজা লাগবে তোমারও
16.আকাঙ্ক্ষা কাকে বলে?
উ: শ্রোতার মনে যে অপূরণীয় কৌতূহল থাকে,
তাকেই বলে আকাঙ্ক্ষা।
17.একটি প্রার্থনাসূচক বাক্যের উদাহরণ দাও।
উ: পুরোহিত বললেন, ‘দীর্ঘজীবী হও বাবা।
18.ভাববাচ্যের যে কোনো একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উ: ক্রিয়া বিশেষ্যই বিশেষ প্রাধান্য পায়।
19. বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর। (জটিল বাক্য)
উ: বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে যে আসছে, সে
ভয়ংকর।
20.”আমি অবশ্য ফাউন্টেন পেন হাতে তুলে নিয়েছি অনেক পরে।”— ভাববাচ্যে পরিণত করো।
উ: আমার অবশ্য ফাউন্টেন পেন হাতে তুলে নেওয়া হয়েছে অনেক পরে।
21.অনুক্ত কর্ম কাকে বলে?
উ: বাক্যের মধ্যে সকর্মক ক্রিয়ায় যদি কর্মটি উহ্য থাকে তবে তাকে বলে অনুক্ত কর্ম।
22.একটি বাক্যাংশ কর্তার উদাহরণ দাও।
উ: সীমাহীন অহংকারই তাকে ডোবাল।
23. “আমি হৃষ্টযনে সিংহাসন ছেড়ে দেব।”- রেখাঙ্কিত পদটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো।
উ: করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
24.কখনো কোনো কটূক্তির প্রতিবাদ করিনি। (রেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় কর)
উ: কটূক্তি-কটু যে উক্তি – কর্মধারয় সমাস, তার।
25.অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে?
উ: যে সমাসের পূর্বপদটি একটি সংস্কৃত অব্যয়
(অবশ্য উপসর্গও হতে পারে) এবং অর্থের দিক থেকে সেই অব্যয়ের অর্থেরই প্রাধান্য ঘটে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
26. ভয় পাবে না। (নির্দেশক বাক্যে পরিণত করো)
উ: ভয় পেলে চলবে না।
27.বাচ্য পরিবর্তনের যেকোনো একটি নিয়ম লেখো।
উ: অর্থের কোন রকম পরিবর্তন হবে না, এবং
ক্রিয়ার কালের বা ভাবের কোরূপ পরিবর্তন হবে না।
28. তাঁদের নূতন করে শিখতে হচ্ছে। (কর্তৃবাচ্যে)
উ: তাঁরা নূতন করে শিখছেন।
29.” ট্রেনটি নদের চাঁদকে পিষিয়া দিয়া চলিয়া গেল।” (যৌগিক বাক্যে রূপান্তর করো)
উ: ট্রেনটি নদের চাঁদকে পিষিয়া দিল ও চলিয়া গেল।
30. একটি মিশ্র বাক্যের উদাহরণ দাও।
উ: মৃগেনবাবু ভালোমানুষ এবং তিনি সমাজসেবী, সেজন্য গ্রামের সবাই তাঁকে ভালোবাসেন।
অন্যান্য → মাধ্যমিক ২০২৩ এর বাংলা সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion 2023 | BanglaSuggestion