উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জীবনী মূলক রচনা লেখার কৌশল, জীবনীমূলক রচনা এবার পুরো নাম্বার পাবে তুমিও!
HS Bengali Biographical Essay Writing Technique :
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জীবনী মূলক রচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে থাকে। এখানে তোমাদের ১০ নম্বর থাকে। এই দশ নম্বর যাতে তোমরা পুরো নম্বরটাই পাও সেই কারণে আমরা জীবনীমূলক রচনা একটি লেখার কৌশল নিয়ে এসেছি। এই জীবনে মূলক রচনার ফরমাটটি দেখে তুমি যে কোন ধরনের জীবনমূলক রচনা লিখে দিতে পারবে।
জীবনীমূলক রচনার ফরম্যাট
ভূমিকা: রত্নগর্ভা বঙ্গমায়ের / ভারতমাতার গর্ভে যুগে যুগে জন্মগ্রহণ করেছে দ্যুতিমান নক্ষত্রসম নানা কৃতি সন্তান । যারা তাঁদের স্বীয় প্রতিভার হিরণ্যদ্যুতিতে মহিমান্বিত করেছে বাংলার মুখকে / ভারতমাতার মুখকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন, বিশিষ্ট (উপাধিসহ ব্যক্তির নাম)।
জন্ম : দশ মাস দশ দিন পর জননী কোলে সুপ্ত শিশুর চক্ষুদান ও পৃথিবীর আলোকছটার সাময়িক উপস্থিতি যেমনি করে আকস্মিক স্তব্ধতা নামিয়ে আনে শিশুর মনে তেমনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত করে স্তব্ধ পৃথিবীর বুকে জননী তোমায় আলো দেখিয়েছিলেন । আর কয়েক মুহূর্তেই তা আপন ছন্দে গ্লাবন ঘটিয়ে তিনি এনেছেন (পেশা) -এর কৃতিত্ব । শুভ্র নির্ঘণ্টে চন্দ্র, সূর্য, আকাশ, বাতাস, জল, স্থল ও পাখির কলকাকলির মুখরিত পরিবেশে (সাল-তারিখ-জন্মস্থান)।
বংশ পরিচয়: আলোর ধারার বেগে মহানতার পরিচয়ে পরিচিত (ব্যক্তির নাম) চমকিত করেছেন সমগ্র বিশ্ব/ ভারতবাসীকে। প্রাচীনকাল থেকে খ্যাতনামা সুবংশজাত আধুনিক হিন্দু/মুসলিম পরিবারে পিতা (পিতার নাম) এর মুখ আলো করে এবং মাতা (মাতার নাম) কোল আলো করে ভূমিষ্ঠ হন তৎকালীন ছোট্ট শিশুরুপী বর্তমানকালের দীর্ঘসময়ের আলোকে উদ্বেলিত জনপ্রিয় (ব্যক্তির নাম)।
অন্যান্য → টেষ্ট পরীক্ষার জন্য উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ২০২৩ প্র্যাকটিস সেট
শিক্ষা : জ্ঞানের অসীম ভান্ডারে প্রদীপ শিখার আলোকে (নাম) নিজেকে আলোকিত করেছিলেন বাল্যকাল থেকেই । যেমন করে গাছের ধরন দেখলে বোঝা যায় ফুল ফুটবে কিনা তেমনি তার ছোটবেলায় শিক্ষার দীপশিখা জ্বলেছিল বাবা মায়ের কাছে। এরপর (পয়েন্টে বলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির নাম)
কর্মজীবন :
“এসো বন্ধু, এসো বীর, শক্তি দাও চিতে,
কল্যাণের কর্ম করি লাঞ্ছনা সহিতে” ।
যে সকল ব্যক্তি তাদের চিন্তায়, কর্মে আমাদের দেশে আধুনিক (পেশার নাম) সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছেন তাদের মধ্যে (নাম) ছিলেন অন্যতম। তাঁর কর্মজীবন-ই ছিল জীবনের বহিঃপ্রকাশ। অর্থের মূল্যায়নকে প্রাধান্য না দিয়ে (পেশা) এর কল্যাণে নিজের আত্মনিযোগের ধারাকে অক্ষুণ্ণ রেখেছেন জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে । তিনি (Pointগুলো)…..…...। তাঁর এই নিরলস অক্লান্ত পরিশ্রমের মূল্যায়ন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়।
পুরস্কার :
“শৃংখল দিয়ে বাঁধা যায় দেহ,
ভালোবাসা দিয়ে বাঁধা যায় মন,
উপহার দিয়ে বাঁধা যায় স্মৃতি,
তাই দেওয়া প্রযোজন ।
অমর কৃতির কার্যাবলীকে মর্যাদা দানে বিরত রাখা সম্ভব নয় । অমর প্রতিভার ব্যক্তিত্ব অমরত্ব লাভ করে তার সুমহান কীর্তির মধ্যে দিয়ে । তিনি তাঁর প্রতিভার স্মারকরুপি অর্জন করেছেন বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে। (এরপর পয়েন্টে বলা পুরস্কার গুলো লিখবে)
মৃত্যু:
“লুপ্ত করেছো আমার ভুবন দুঃস্বপ্নের তলে
তাইতো তোমায় শুধায় অশ্রুজলে”
প্রতিভার মৃত্যু নেই, কিন্তু নম্বর শরীরের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী । তাই কালের নিয়মে তিনিও চলে গেছেন জগতের মায়া ত্যাগ করে (সাল-তারিখ)।
উপসংহার: এহেন (নাম) এর মৃত্যু বঙ্গবাসী ভারতবাসী / বিশ্ববাসীর কাছে একান্তই যন্ত্রণাদায়ক । তথাপি মৃত্যু এই মর্ত্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্য । তবে (নাম) দৈহিক অস্তিত্ব পৃথিবী থেকে মুছে গেলেও (পেশা /নাম) আগামী ইতিহাসেও একটি বিমুগ্ধ বিস্ময় চিহ্ন হয়েই থেকে যাবেন। তাই একথা বলাই যায়।
“দেশের মৃত্তিকা নিল যারে হরি
দেশের হৃদয় তাকে রাখিয়াছে ধরি”।
অন্যান্য → মাধ্যমিক রচনা বিজ্ঞান ও কুসংস্কার, একদম জলের মতন সোজা লাগবে তোমারও